Top News

আপনার খাদ্যাভ্যাস বলে দিবে আপনি ADHD আক্রান্ত কিনা!



ADHD বা Attention Deficit Hyperactivity Disorder একটি পরিচিত স্নায়বিক অবস্থা, যা মূলত মনোযোগের ঘাটতি, অতিরিক্ত গতিশীলতা বা অস্থিরতা এবং আচরণগত সমস্যা দিয়ে চিহ্নিত করা যায়। মস্তিষ্কের ডোপামিন ও নরএপিনেফ্রিন নামক হরমোনের ঘাটতি বা কার্যকারিতার সমস্যা ADHD এর সঙ্গে জড়িত। এই হরমোনগুলো মনোযোগ, অনুভূতি ও আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে। প্রধানত শিশুদের মধ্যে এ সমস্যা দেখা গেলেও অনেক প্রাপ্তবয়স্কারাও এতে ভোগেন। 

কারা বেশি আক্রান্ত হন?

সাধারণত ৩-১২ বছর বয়সে ADHD-এর লক্ষণ স্পষ্ট হয়। ছেলেদের মধ্যে এই রোগের হার মেয়েদের তুলনায় বেশি। মেয়েদের ক্ষেত্রে ADHD অনেক সময় মনোযোগের ঘাটতি হিসেবেই প্রকাশ পায়, তাই তা অনুধাবন করতে দেরি হয়। ADHD সনাক্ত করা যায় কিছু নির্দিষ্ট আচরন ও খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে, যেমনঃ

ADHD এর কিছু আচরণগত লক্ষনঃ 

যেকোন কাজে মনোযোগের অভাব, সহজেই ভুলে যাওয়া বা কোন জিনিস হারিয়ে ফেলা, এক জায়গায় স্থির থাকতে না পারা, চিন্তা না করে কাজ করা, সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগা, অন্যের কথা কাটিয়ে কথা বলা, লাইন বা সিরিয়াল না মানার মানসিকতা ইত্যাদি।  

ADHD ও খাবারের সম্পর্কঃ কি বলছে গবেষণা?

২০২৪ সালে 'The Nutrients' জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষনায় দেখা যায়, ADHD যুক্ত ব্যাক্তিরা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি Ultra Processed Food খেয়ে থাকেন, যাতে অতিমাত্রায় ফুড কালার, প্রিজারভেটিভস, লবন-চিনি ইত্যাদি থাকে।

ADHD আক্রান্ত ব্যাক্তিদের অতি পছন্দনীয় কিছু খাবারঃ    

*অতিরিক্ত চিনি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার

*ফাস্ট ফুড, চিপস, চকোলেট

*ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় (যেমন সফট ড্রিংকস, কফি)

খাদ্যাভ্যাসে ADHD-এর প্রভাব

ADHD শুধুমাত্র খাবারের ধরণ নয়, খাবার গ্রহণের অভ্যাসেও প্রভাব ফেলে। ADHD-যুক্ত ব্যক্তিরা অনেক সময় সময়মতো খেতে ভুলে যান, হঠাৎ অতিরিক্ত ক্ষুধা অনুভব করেন বা অনিয়মিতভাবে খান। কারও ক্ষেত্রে আবার খাওয়ার প্রতি আগ্রহ কমে যায় বা খুব নির্দিষ্ট কিছু খাবার ছাড়া অন্য কিছু খেতে চান না। 

বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন ADHD আক্রান্তদের খাদ্যতালিকায় যেন থাকে:

*পর্যাপ্ত ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড (যেমন সামুদ্রিক মাছ)

*পর্যাপ্ত ফাইবার ও প্রাকৃতিক খাবার (যেমন: শাকসবজি, ফলমূল)

*কম চিনি ও কম প্রক্রিয়াজাত খাবার 

কেন বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ?

ছোটবেলা থেকেই ADHD এর লক্ষনগুলো চিহ্নিতকরন করে যথাযথ ব্যাবস্থা না নিলে বড় হওয়ার পর ও সমস্যাটি থেকে যাবে ও প্রকটাকার ধারন করবে। তাই খাবারের পছন্দ ও অভ্যাস লক্ষ করে আগেভাগেই ADHD চিহ্নিত করা উচিত। তার সাথে ADHD রোগীদের জন্য সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Post a Comment

Previous Post Next Post